প্রঃ গাড়ীতে কত প্রকার তেলের দরকার?
উঃ প্রধানতঃ পাঁচ প্রকার। যেমন-
(ক) পেট্রোল, ডিজেল বা গ্যাস- ইহা ঢালতে হয় পেট্রোল ট্যাঙ্কে।
(খ) ইঞ্জিন অয়েল বা মবিল- ইহা ঢালতে হয় অয়েল বা মবিল চেম্বারে। ইহা সাধারণতঃ নতুন ইঞ্জিন হলে ৫০০ মাইল এবং পুরোনো ইঞ্জিন হলে ২৫০০ মাইল চলার পর বদল করতে হয়। নতুন ইঞ্জিনের ক্ষয়ের দরুণ ইঞ্জিন অয়েল বা মবিল খুব তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যায়।
(গ) ব্রেক অয়েল ইহা ঢালতে হয় ব্রেক প্যাডেলের নীচে বা সঙ্গে অবস্থিত মাস্টার সিলিন্ডারে। ব্রেক প্যাটেলে চাপ দিলে মাস্টার সিলিন্ডার থেকে ব্রেক অয়েল ব্রেক পাইপের ভিতর দিয়ে চাকার ইউল সিলিন্ডারে প্রেসার দেয়। তার ফলে ব্রেক সিস্টেম কাজ করে। ব্রেক অয়েল কম থাকলে ব্রেক প্যাডেল বসে যাবে।
(ঘ) গিয়ার অয়েল ইহা ঢালতে হয় গিয়ার বক্সে, ইহা সাধারণত ১০,০০০ মাইল চলার পর বদল করতে হয়।
(ঙ) সি অয়েল- ইহা ঢালতে হয় স্টিয়ারিং বক্সে এবং ডিফারেনসিয়ালে। ইহা সাধারণতঃ ১০,০০০ মাইল চলার পর বদল করতে হয়।
প্রঃ ইঞ্জিনে কতগুলি পুলি আছে?
উঃ তিনটি। যেমন-মেন পুলি বা স্টার্টিং পুলি, ডায়নামো পুলি এবং ওয়াটার পাম্প পুলি। মেন পুলি বেল্টের সাহায্যে ডায়নামো পুলি এবং ওয়াটার পাম্প পুলিকে ঘোরায়।
প্রঃ ইঞ্জিনে কয়টি পাম্প আছে?
উঃ তিনটি। যেমন-
(ক) এ. সি. পাম্প- ইঞ্জিনের পাশে ক্যামসাফটের দিকে অবস্থিত। ক্যামসাফটের দ্বারা চালিত হয়ে পেট্রোল ট্যাঙ্ক হতে পাম্পের মধ্য দিয়ে পেট্রোল টেনে নিয়ে কার্কিউরেটার ফ্লোর্ট চেম্বারে পাঠিয়ে দেয়।
(খ) অয়েল পাম্প- এটি ইঞ্জিন ব্লকের তলায় অয়েল চেম্বারে মধ্যে অবস্থিত। এটি ক্যামস্যাফটের দ্বারা চালিত হয়ে অয়েল চেম্বার থেকে অয়েল নিয়ে মেন বিয়ারিং পুশ রড, ট্যাপেট, ক্যাম বিয়ারিং ইত্যাদি চলমান যন্ত্রাংশে অয়েল পাঠিয়ে দিয়ে ঘর্ষণ জনিত ক্ষয় এবং গরমের হাত থেকে বাঁচায়।
(গ) ওয়াটার পাম্প- ইঞ্জিনের সম্মুখ দিকে অবস্থিত। এর কাজ হল নীচের হোস পাইপের দ্বারা রেডিয়েটার থেকে ঠাণ্ডা জল নিয়ে ইঞ্জিনের ওয়াটার জ্যাকেটে পাঠান এবং ইঞ্জিন থেকে গরম জল নিয়ে উপরের হোস্ পাইপ দ্বারা পুনরায় রেডিয়েটারে পাঠিয়ে দেয়। ওয়াটার পাম্প ফ্যান বেল্টদ্বারা চালিত থাকে। এর ফলে ইঞ্জিন ঠান্ডা হয়।