ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমরা নানা ধরনের কাজ করে থাকি ৷
এমন কিছু কাজ দেশের প্রায় সব খানেই পেশা হিসেবে গ্রহণ যোগ্য যে গুলোতে স্বল্প মেয়াদি প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনারা ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারেন ৷
এমনই একটি পেশা হলো ড্রাইভিং পেশা যা সহজে উপার্জন করার একটি ভালো উপায় হিসেবে স্বল্প প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও অল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে জীবনকে সুন্দর করার একটি উৎকৃষ্ট মাধ্যম হতে পারে ৷ গাড়ি চালানোর জন্য একজন চালককে কিছু যন্ত্রপাতির ব্যবহার জানতে হয় ৷
একটি গাড়ি চালানোর জন্য এগুলো জানা খুবই জরুরি ৷
এর উপর গাড়ি চালানো ও গাড়ি চালকসহ যাত্রীদের জীবন নির্ভর করে থাকে ৷
একটি গাড়ি চালানোর জন্য দরকারি বিভিন্ন প্রস্তুতি গুলো কি কি ?
গাড়ি রাস্তায় বের করার আগে আপনাদের অবশ্যই কিছু প্রস্তুতি নিতে হবে ৷
চলুন প্রস্তুতি গুলো জেনে নেই:
যা পরীক্ষা করতে হবে -
গাড়ি পরিষ্কার আছে কিনা ?
গাড়ির সব সচল অংশ গুলো ঠিকমত কাজ করছে কিনা- কোথাও অসুবিধা থাকলে তা সঙ্গে সঙ্গে মেরামত করতে হবে।
গাড়ি স্টার্ট করার আগে গাড়িতে লুব্রিকাটিং তেল ( মবিল ) সঠিক পরিমানে আছে কি না তা পরীক্ষা করে নিতে হবে।
মোবিল চেম্বারে পরিমাণ মত মোবিল অয়েল আছে কিনা ?
ব্রেক ওয়েল পরিমান মত আছে কিনা দেখতে হবে।
চাকা গুলোতে পরিমাণ মত হাওয়া আছে কিনা?
গাড়ির ব্রেক ঠিক মত কাজ করছে কি না ?
ব্যাটারীতে ডিষ্টিল ওয়াটার ও বিদ্যুতের লাইন ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে।
লুকিং গ্লাস বা আয়না ঠিকমত পরিষ্কার আছে কি না ?
কোন ফিটিং ঢিলা আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। কোন ফিটিং ঢিলা থাকলে সঙ্গে সঙ্গে টাইট করে নিতে হবে।
এক্সিল জ্যাক, হুইল রেঞ্চ, অতিরিক্ত চাকা, স্টার্টিং হ্যান্ডেল ও জরুরি যন্ত্রপাতি সঙ্গে আছে কি না ?
নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স, ট্যাক্সটোকেন, ইন্সিওরেন্স সার্টিফিকেট, ধোঁয়া পরীক্ষা শংসাপত্র, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট , রোড পারমিট ইত্যাদি জরুরি কাগজ পত্র সঙ্গে আছে কি না ? জরুরি কাগজ পত্র সঙ্গে নিন।
সিলিন্ডার বা পিস্টনে কোনো দোষ ত্রুটি আছে কি না ? দোষ ক্রটি সমাধান করে নিন।
এর পরের বিষয় - ড্রাইভিং সীট এ বসে কি কি করণীয় ???
1) চালকের বসার আসন উপযুক্ত ভাবে লাগানো আছে কিনা ?
2) গাড়ির আয়না বা মিরর গুলোর দিকে নজর রাখতে হবে।
3) গাড়ির চারপাশ দেখে নিতে হবে। উপযুক্ত পথ ও গতিবেগ নির্ধারন করতে হবে।
4) ট্রাফিক সিগনাল মেনে চলতে হবে।
5) অপ্রয়োজনে ওভারটেকিং করা থেকে বিরত থাকবে।
৫) গাড়ি ডানে বামে মোড় নেবার পূর্বে সিগনাল দিতে হবে।
৬) ওভারটেকিং করার পূর্বে অবশ্যই হর্ন বাজাতে হবে।
৭) যত্রছত্র হর্ন বাজানো থেকে বিরত থাকবে।
৬) ওভারটেকিং করার পূর্বে অবশ্যই হর্ন বাজাতে হবে।
৭) যত্রছত্র হর্ন বাজানো থেকে বিরত থাকবে।
গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে স্টিয়ারিং একটি খুবই জরুরি যন্ত্র৷ এর উপর গাড়ি চালানো ও গাড়ি চালকসহ যাত্রীদের জীবন নির্ভর করে থাকে ৷
গাড়ি চালানোর জন্যে ভালোভাবে স্টিয়ারিং ধরার অভ্যাস করতে হয় ৷
সেই সাথে স্টিয়ারিং চালানো শিখতে হলে আপনাদের নিচের নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে:
গাড়ি চালানোর সময় স্টিয়ারিং হালকা করে ধরে চালককে সামনের দিকে দৃষ্টি রেখে গাড়ি চালাতে হবে৷
গাড়ি চালানো বা থামানোর সময় দরকার না হলে স্টিয়ারিং-এর উপর জোর দিয়ে কিছুই করা উচিত নয়৷
ওভারটেকের সময় ভালোভাবে স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে৷
গিয়ার পরিবর্তনের সময় হালকা করে স্টিয়ারিং ধরতে হয়৷
আঁকাবাঁকা ও খুব উঁচু-নিচু রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় গাড়ির গতি কমিয়ে দিয়ে চালাতে হয়৷ এসময় স্টিয়ারিং শক্ত করে ধরে রাখা দরকার তা নাহলে দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার ভয় থাকে৷
ঢালু অথবা পাহাড়ি রাস্তার উপর থেকে নিচে নামার সময় গাড়ির গতি কমিয়ে দিতে হবে৷ সেই সাথে ব্রেক ধরে শক্তকরে স্টিয়ারিং ধরতে হবে৷
বাঁকা রাস্তায় বা মোড় ঘুরানোর সময় রাস্তার উপর সতর্ক দৃষ্টি রেখে শক্ত হাতে স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি চালাতে হবে৷
এখন জানা দরকার স্টিয়ারিং ভালো রাখার জন্য কি কি করা যেতে পারে৷
স্টিয়ারিং ভালো রাখার উপায় গুলো হলো-
বিনা কারণে স্টিয়ারিং ঘুরানো ঠিক নয় ৷ স্টিয়ারিং বেশি ঘুরলে বুশ বিয়ারিং তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যাবে৷
গাড়ি দাঁড়ানো অবস্থায় স্টিয়ারিং ঘুরানো উচিত নয়৷ এটা করলে স্টিয়ারিং-এর যন্ত্রাংশ ঢিলে ও অকেজো হয়ে যাবে৷
গাড়ি খুব বেশি উঁচু-নিচু পথ অতিক্রম করলে স্টিয়ারিং এবং তার যন্ত্রাংশ গুলো পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে৷
নিয়মিত স্টিয়ারিং ফ্লুইড দিতে হবে৷
গাড়ি চালানোর জন্যে ভালোভাবে স্টিয়ারিং ধরার অভ্যাস করতে হয় ৷
সেই সাথে স্টিয়ারিং চালানো শিখতে হলে আপনাদের নিচের নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে:
গাড়ি চালানোর সময় স্টিয়ারিং হালকা করে ধরে চালককে সামনের দিকে দৃষ্টি রেখে গাড়ি চালাতে হবে৷
গাড়ি চালানো বা থামানোর সময় দরকার না হলে স্টিয়ারিং-এর উপর জোর দিয়ে কিছুই করা উচিত নয়৷
ওভারটেকের সময় ভালোভাবে স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে৷
গিয়ার পরিবর্তনের সময় হালকা করে স্টিয়ারিং ধরতে হয়৷
আঁকাবাঁকা ও খুব উঁচু-নিচু রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় গাড়ির গতি কমিয়ে দিয়ে চালাতে হয়৷ এসময় স্টিয়ারিং শক্ত করে ধরে রাখা দরকার তা নাহলে দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার ভয় থাকে৷
ঢালু অথবা পাহাড়ি রাস্তার উপর থেকে নিচে নামার সময় গাড়ির গতি কমিয়ে দিতে হবে৷ সেই সাথে ব্রেক ধরে শক্তকরে স্টিয়ারিং ধরতে হবে৷
বাঁকা রাস্তায় বা মোড় ঘুরানোর সময় রাস্তার উপর সতর্ক দৃষ্টি রেখে শক্ত হাতে স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি চালাতে হবে৷
এখন জানা দরকার স্টিয়ারিং ভালো রাখার জন্য কি কি করা যেতে পারে৷
স্টিয়ারিং ভালো রাখার উপায় গুলো হলো-
বিনা কারণে স্টিয়ারিং ঘুরানো ঠিক নয় ৷ স্টিয়ারিং বেশি ঘুরলে বুশ বিয়ারিং তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যাবে৷
গাড়ি দাঁড়ানো অবস্থায় স্টিয়ারিং ঘুরানো উচিত নয়৷ এটা করলে স্টিয়ারিং-এর যন্ত্রাংশ ঢিলে ও অকেজো হয়ে যাবে৷
গাড়ি খুব বেশি উঁচু-নিচু পথ অতিক্রম করলে স্টিয়ারিং এবং তার যন্ত্রাংশ গুলো পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে৷
নিয়মিত স্টিয়ারিং ফ্লুইড দিতে হবে৷
এটি চালানোর জন্য গিয়ার লিভার সামনে ও পেছনে জায়গামত বসিয়ে দিতে হয়৷
গিয়ার লিভারের পাশে গিয়ারের স্থান অনুযায়ী ইংরেজীবর্ণের ইঙ্গিত আছে৷
যেমন- গাড়ি পার্কিং-এর সময় গিয়ার লিভার P-তে (পার্কিং) দিতেহবে৷
পেছনে নিতে হলে R-তে (রিভার্স) দিতে হবে৷
গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার আগে N-তে (নিউট্রাল) দিতে হবে৷
গাড়ি চলমান অবস্থায় D-তে দিতে হবে৷
গাড়ি উপরে তুলতে ও গর্ত থেকে তুলতে 2-তে দিতে হবে৷
পাহাড় বা উঁচু টিলায় গাড়ি তুলতে হলে L-তে দিতে হবে৷
গিয়ার লিভারের পাশে গিয়ারের স্থান অনুযায়ী ইংরেজীবর্ণের ইঙ্গিত আছে৷
যেমন- গাড়ি পার্কিং-এর সময় গিয়ার লিভার P-তে (পার্কিং) দিতেহবে৷
পেছনে নিতে হলে R-তে (রিভার্স) দিতে হবে৷
গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার আগে N-তে (নিউট্রাল) দিতে হবে৷
গাড়ি চলমান অবস্থায় D-তে দিতে হবে৷
গাড়ি উপরে তুলতে ও গর্ত থেকে তুলতে 2-তে দিতে হবে৷
পাহাড় বা উঁচু টিলায় গাড়ি তুলতে হলে L-তে দিতে হবে৷
এটি খুব জরুরি একটি জিনিস যা হাত দিয়ে টেনে জায়গামত বসাতে হয়৷
এর সাহায্যেই চাকায় শক্তি ও গতি পাঠানো হয়৷
ছোট-বড় গাড়িভেদে গিয়ারের সংখ্যাও ধরন কম-বেশি আছে৷
যেমন- বড় বড় বা ভারী গাড়িতে ৫-৬ টি গিয়ার থাকে৷
এ গুলো হল- প্রথম গিয়ার, দ্বিতীয় গিয়ার, তৃতীয় গিয়ার, চতুর্থ গিয়ার, পঞ্চম গিয়ার (টপগিয়ার), ও রিভার্স বা ব্যাক গিয়ার৷
এর সাহায্যেই চাকায় শক্তি ও গতি পাঠানো হয়৷
ছোট-বড় গাড়িভেদে গিয়ারের সংখ্যাও ধরন কম-বেশি আছে৷
যেমন- বড় বড় বা ভারী গাড়িতে ৫-৬ টি গিয়ার থাকে৷
এ গুলো হল- প্রথম গিয়ার, দ্বিতীয় গিয়ার, তৃতীয় গিয়ার, চতুর্থ গিয়ার, পঞ্চম গিয়ার (টপগিয়ার), ও রিভার্স বা ব্যাক গিয়ার৷
মনে রাখা দরকার,
সামনে এগিয়ে যাওয়ার গিয়ার (ফরওয়ার্ডগিয়ার) পাঁচটি থাকলে পঞ্চম গিয়ারই টপ গিয়ার হবে৷
সামনে এগিয়ে যাওয়ার গিয়ার (ফরওয়ার্ডগিয়ার) পাঁচটি থাকলে পঞ্চম গিয়ারই টপ গিয়ার হবে৷
আবার সামনে এগিয়ে যাওয়ার গিয়ার চারটি হলে চতুর্থ গিয়ারই হল টপ গিয়ার৷
ছোট বা মাঝারি ধরনের গাড়িতে সাধারণত চারটি বা কখনও কখনও পাঁচটি গিয়ার ও থাকে৷
যেমন- সামনে এগিয়ে যাবার গিয়ার ৩ টি হলে তৃতীয় গিয়ারই টপ গিয়ার৷
এছাড়া উপরের গিয়ারের বাইরে ও "নিউট্রাল গিয়ার" আছে ৷
নিউট্রাল থেকেই দরকার মত গিয়ারকে নানা ভাবে পরিবর্তন করা হয় ৷
চলুন ধাপে ধাপে সেগুলো জেনে নেই-
গাড়ি চালু করার সময় নিউট্রাল গিয়ারটি ঠিক জায়গায় আছে কিনা তা দেখে নিয়ে গাড়ি স্টার্ট করতে হয়৷
গাড়ি স্টার্ট করে বাম পা দিয়ে ক্লাচে চাপ দিয়ে প্রথম বা ফার্স্ট গিয়ার দিতে হয়৷
কমপক্ষে ১০-১২ মিটার ফার্স্ট গিয়ারে গাড়ি চলার পর দ্বিতীয় বা সেকেন্ড গিয়ার দিতে হয়৷
দ্বিতীয় গিয়ারে প্রায় ১৫০-১৭০মিটার গাড়ি চলার পর একসিলারেটর থেকে পা আলগা করতে হয় ও বাম পায়ের সাহায্যে ক্লাচকে চেপে ধরতে হয়৷
ডানহাতে স্টিয়ারিং ধরে বামহাতে গিয়ার লিভারকে পিছনে টেনে নিউট্রালে আনতে হয়৷
তারপর ক্লাচপ্যাডেল থেকে পা আলগা করে আবার চেপে ধরতে হবে৷
সাথেসাথে গিয়ার লিভারকে বাম হাত দিয়ে ঠেলে দিয়ে আবার পিছনে নিয়ে আসতে হবে৷
তারপর দ্বিতীয় বা সেকেন্ড গিয়ার দিতে হবে৷
দ্বিতীয় গিয়ার দেওয়ার পর ধীরে ধীরে ক্লাচপ্যাডেল ছেড়ে দিয়ে একসিলারেটরে পা দিয়ে চাপ দিতে হবে৷
ক্লাচপ্যাডেলের উপর পা দিয়ে চাপ দিয়ে গিয়ার নিউট্রাল করতে হবে৷
তারপর একবার ক্লাচপ্যাডেলে চাপ দিয়েই ছেড়ে দিয়ে আবার চাপ দিতে হবে৷
ডানহাতে স্টিয়ারিং ধরে বামহাতে গিয়ারকে নিজের দিকে টেনে আনতে হবে৷
তারপর গিয়ারকে তৃতীয় বা থার্ডগিয়ারের স্থানে ঠেলে দিতে হবে৷
এবার ক্লাচপ্যাডেল ছেড়ে দিয়েই সাথেসাথে একসিলারেটরে চাপ দিতে হবে৷
এরফলে গাড়ির গতিবেড়ে যাবে৷
গাড়িতে যদি আরও গিয়ার থাকে তাহলে সেসব গিয়ার পরিবর্তনের নিয়মও একই হবে৷
ক্লাচপ্যাডেলের উপর চাপ আলগা করে আবার চাপ দিয়ে ডান হাতে স্টিয়ারিং ধরে বামহাতে চতুর্থ বা পঞ্চম বা ষষ্ঠ গিয়ার লাগাতে হবে৷
পরের কাজও আগের মতই করতে হবে৷
গাড়ি থামাতে হলে ক্লাচপ্যাডেল চেপে গিয়ার নিউট্রাল করতে হবে৷
তারপর ফুটব্রেক প্যাডেলে চাপ দিতে হবে৷
তাহলে গাড়ি থেমে যাবে৷গাড়ির গতি কমাতে হলে একসিলারেটর থেকে পায়ের চাপ কমাতে হবে ও সাথেসাথে ক্লাচপ্যাডেলে চাপ দিতে হবে৷
একসিলারেটরের চাপ কমিয়ে দিলে বা ছেড়ে দিলে ইঞ্জিনের শক্তি কমে যায়৷
এতে গিয়ারের ক্ষমতা ও কমে যায়৷ফলে গাড়ির গতি কমে যায়৷
কারণ গিয়ার ছাড়া ও গাড়িরশক্তি কমানো-বাড়ানোর আরেকটি যন্ত্র হল একসিলাটের৷
ক্লাচপ্যাডেলে চাপ দিয়ে গাড়ির গিয়ার পরিবর্তন, গাড়ির গতি বাড়ানো-কমানো এইকাজ গুলো একই সাথে করতে হয়৷স্টিয়ারিং গিয়ার সিস্টেম বলে একটি সিস্টেম আছে যাতে গাড়িতে সামনে এগিয়ে চলার জন্য তিন থেকে চারটি গিয়ার থাকে৷
এতেও গাড়িকে পিছনে নেওয়ার জন্য রিভার্স গিয়ার বা ব্যাকগিয়ার থাকে৷
গাড়ি থামানোর পরই ব্যাকগিয়ার বা রিভার্স গিয়ার দেওয়াউচিত৷
তা নাহলে গিয়ারের সকল পিনিয়ন ভেঙে যাবে৷
গাড়ির ইঞ্জিন চালু করা এবং গিয়ার পরিবর্তনের সময় এবং গিয়ার কমানোর জন্য চালকের আসনের একেবারে বাঁ দিকে এই ক্লাচ প্যাডেল ব্যবহার করা হয়৷ইঞ্জিন চালু করার সময় বাম পা দিয়ে এতে চাপ দিয়ে গিয়ার দিতেহয়৷
একসিলারেটর প্যাডেল মূল প্যাডেল হিসেবে গাড়ির গতি বাড়ানো-কমানোর জন্য গাড়ির চালকের ডান পায়ের কাছাকাছি থাকে ৷ গাড়ি দ্রুতবেগে চালনা করা দরকার হলে এই প্যাডেলের চাপ বাড়িয়ে দিতে হয় আবার কমানোর জন্য চাপ কমিয়ে দিতে হয় ৷
গাড়ি থামানোর যন্ত্র হল ব্রেক৷ গাড়িতে দুই রকম ব্রেক হয়-প্যাডেল বা পায়ের ব্রেক:
ফুটব্রেক প্যাডেলটি ক্লাচপ্যাডেলের কিছুটা উপরে থাকে৷ গাড়ি থামানোর প্রয়োজন হলে প্রথমেই ব্রেকে চাপ না দিয়ে একসিলারেটর প্যাডেলের উপর থেকে ডানপা উঠাতে হবে৷ তখনই ডানপা দিয়ে ফুট ব্রেক প্যাডেলের উপর চাপ দিতে হবে৷ তাহলে গাড়ির চলা বন্ধ হয়ে যাবে৷ এসময় গীয়ার নিউট্রালে রাখতে হয়৷চালককে এই কাজ গুলো দ্রুততার সাথে করতে হবে৷ জরুরি অবস্থায় ক্লাচপ্যাডেলে চাপ না দিয়ে এবং গিয়ার নিউট্রাল না করেও শুধু এক্সিলারেটরছেড়ে দিয়েই ব্রেক করতে হয়৷ এই নিয়মে গাড়ি থেমে গেলেও এতে ইঞ্জিনের ক্ষতি হয়, যাত্রীদেরআঘাতলাগে, গাড়িউল্টেযাবারভয়থাকে, ও গাড়ি আবার চালু করার সময় অনেক অসুবিধা হয়৷তাই গাড়ি থামিয়ে দিতে হলে ক্লাচপ্যাডেল চেপে গিয়ার নিউট্রাল করতে হবে৷ তারপর একসিলারেটরের চাপ তুলে নিলেই গাড়ি থেমে যাবে৷ আর এতে ইঞ্জিনের উপরেও কোনো চাপ পড়বে না৷ হঠাত যদি গাড়ি থামাতে হয় তাহলে একসিলারেটর থেকে পা তুলে নিতে হবে৷ সেই সাথে ক্লাচপ্যাডেলে ও ফুটব্রেক প্যাডেলে চাপ দিতে হবে৷
হ্যান্ডব্রেক লিভার: হ্যান্ডব্রেক গাড়ির একটি অতিরিক্ত ব্রেক৷কখনো পায়ের ব্রেক কাজ না করলে এটি ব্যবহার করা যায়৷ পাহাড়ি উঁচু-নিচু রাস্তায় চলার সময় অথবা রাস্তায় হঠাত কোনো কারণে হাত দিয়ে ব্রেক টেনে ধরলে সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি দাঁড়িয়ে যাবে৷ গাড়ি চলার সময় হ্যান্ডব্রেক আলগা করে রাখতে হবে৷ তা নাহলে গাড়ি দ্রুতগতিতে চলবেনা বরং ইঞ্জিনে বেশিবেশি ফুয়েল পুড়তে থাকবে৷ উঁচু থেকে নিচু পথ দীর্ঘ হলে হ্যান্ড ব্রেক লিভার ব্যবহার করা উচিত৷
হ্যান্ডব্রেক লিভার: হ্যান্ডব্রেক গাড়ির একটি অতিরিক্ত ব্রেক৷কখনো পায়ের ব্রেক কাজ না করলে এটি ব্যবহার করা যায়৷ পাহাড়ি উঁচু-নিচু রাস্তায় চলার সময় অথবা রাস্তায় হঠাত কোনো কারণে হাত দিয়ে ব্রেক টেনে ধরলে সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি দাঁড়িয়ে যাবে৷ গাড়ি চলার সময় হ্যান্ডব্রেক আলগা করে রাখতে হবে৷ তা নাহলে গাড়ি দ্রুতগতিতে চলবেনা বরং ইঞ্জিনে বেশিবেশি ফুয়েল পুড়তে থাকবে৷ উঁচু থেকে নিচু পথ দীর্ঘ হলে হ্যান্ড ব্রেক লিভার ব্যবহার করা উচিত৷
সব শেষে আপনাদের সুবিধার জন্য গাড়ি চালু করার নিয়ম গুলো পর্যায় ক্রমে এক কথায় নিচে বলা হলো:
(1) গিয়ার নিউট্রাল করে নিতে হবে৷( 2 ) একসিলারেটর প্যাডেল সামান্য চেপে রাখতে হবে৷
( 3 ) ক্লাচপ্যাডেল চেপে গিয়ার দিতে হবে৷
( 4 ) এরপর স্টার্টিং সুইচ দিতে হবে৷
( 5 ) ইঞ্জিন চালু হবার পর ক্লাচপ্যাডেল আস্তে আস্তে ছেড়ে দিতে হবে৷
( 6 ) আবার ও ক্লাচপ্যাডেল চেপে গিয়ার পরিবর্তন করতে হবে৷
( 7 ) ক্লাচপ্যাডেল ধীরে ধীরে ছেড়ে দিতে হবে৷
( 8 ) দরকারি গতি অনুযায়ী একসিলারেটর প্যাডেলে চাপ দিতে হবে৷
( 9 ) এরপর গাড়ি ড্রাইভারের ইচ্ছা অনুযায়ী চলতে থাকবে৷
এক্সিল জ্যাক, হুইল, বেঞ্চ, অতিরিক্ত চাকা, স্টার্টিং হ্যান্ডেল ও জরুরি যন্ত্রপাতি সঙ্গে আছে কি না ?
নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স, ট্যাক্সটোকেন, ইন্সিওরেন্স সার্টিফিকেট, ব্লুবুক, রোড পারমিট ইত্যাদি জরুরি কাগজ পত্র সঙ্গে আছে কি না ? জরুরি কাগজ পত্র সঙ্গে নিন
সিলিন্ডার বা পিস্টনে কোনো দোষ ত্রুটি আছে কি না ? দোষ ক্রটি সমাধান করে নিন
নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স, ট্যাক্সটোকেন, ইন্সিওরেন্স সার্টিফিকেট, ব্লুবুক, রোড পারমিট ইত্যাদি জরুরি কাগজ পত্র সঙ্গে আছে কি না ? জরুরি কাগজ পত্র সঙ্গে নিন
সিলিন্ডার বা পিস্টনে কোনো দোষ ত্রুটি আছে কি না ? দোষ ক্রটি সমাধান করে নিন
সতর্কতা
১) দীর্ঘ পরিশ্রমে শরীর খুব ক্লান্ত থাকলে গাড়ি চালাতে নেই। ২) মদ বা অন্যান্য মাদকদ্রব্য পান করে গাড়ি চালানো উচিৎ নয়।
৩) গাড়ির কিছু কিছু প্রধান পার্টস খারাপ থাকলে সেই গাড়ি চালাতে নেই।
৪) মানসিক অবস্থা ভালনা থাকলে গাড়ি চালাতে নেই।
৫) খুব বেশি ক্ষুধা-তৃষ্ণা নিয়ে গাড়ি চালানো ঠিক না, তাতে মন বিরক্ত থাকে I
৬) নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রীর অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালানো ঠিক না।
৭) অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে গাড়ি চালানো ড্রাইভিং সংক্রান্ত আইন-কানুন
ওভারটেকিং
করার নিয়মাবলী
১) নিজের গাড়ির গতিবেগ কন্ট্রোলে রাখতে হবে। ২) যে লাইনে গাড়ি চলছে তার সামনে ও পিছেনের গাড়িকে সিগন্যাল দিতে হবে।
৩) সবসময় নজর রাখতে হবে যে, ওভারটেক্করার সময় রাস্তার মধ্যখান থেকে গাড়িযেন বেশী ডানে না যায়।
৪) ওভারটেক্করার সময় উল্টো দিক থেকে আগত গাড়ির দিকে নজর রাখতে হবে।
৫) গাড়ির গতিবৃদ্ধি করে যতটা সম্ভব ওভারটেকিং শেষ করতে হবে।
৬) কখনো বিপদজনক ভাবে ওভারটেকিং করা ঠিক নয়।
৭) নিজে ওভারটেকিং করার সময় অন্য গাড়িও ওভারটেকিং করছে কিনা তা খেয়াল করতে হবে।
৮) বহু যানবাহন বা জনবহুল পথেঘনঘন ওভারটেকিং করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৯) আঁকাবাঁকা বা দুইমুখী রাস্তাগুলোতে ওভারটেকিং না করাই ভাল।
১০) বড় গাড়ি বা লরী সামনে থাকলে কতটা পথ ফাকা তা ভাল করে না দেখে ওভারটেকিং করা উচিৎ নয়।
ড্রাইভিং
সংক্রান্ত আইন-কানুন
১) সবার আগে মোটর গাড়ি রেজিষ্টি করতে হবে।গাড়িতে স্পষ্টভাবে নম্বরপ্লেট লাগাতে হবে।
২) চালকের ন্যুন্যতম ১৮ বছর, ৮ শ্রেনীপাস এবং লাইসেন্স প্রাপ্ত হতে হবে। ৩) ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে নিয়ম ভেদে ১০০ থেকে ১০০০টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে ।রাস্তাপার, গাড়িরগতি, ট্রাফিক নির্দেশ ও সংকেত প্রভৃতি সবরকম নির্দেশ মেনে চলতে হবে।
৪) ড্রাইভারকে গাড়ি চালাবার সময় সর্বদা মানুষ, জন্তু, অন্য গাড়ি প্রভৃতির দিকে নজর রেখে চালাতে হবে। এতেভূল-ত্রুটি হলে অমার্জনীয় অপরাধ বলে গন্য হবে।
বিশেষ
নিয়মাবলী
১) রাতের বেলা গাড়ি চালাতে গেলে গাড়ির আলো ঠিক রাখতে হবে।
২) মালামাল বহন সীমার অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে গাড়ি চালানো আইনত দন্ডনীয় আপরাধ।
৩) গাড়ি সব সময় পথের বামদিক দিয়ে চলবে। ওভারটেকিং করার সময় সিগনাল দিতেহবে।
৪) যেখানে যতটুকু গতিসীমা দেওয়া থাকে তার অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো দন্ডনীয় অপরাধ।
৫) যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করা উচিত নয়।আইন হল- আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলে নিকটবর্তী ডাক্তারখানা বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।নিকটবর্তী থানাতে দুর্ঘটনার কথা জানাতে হবে।এরূপ করলে ড্রাইভারের শাস্তি কম হয় বা হয় না।কিন্তু পালিয়ে গেলে শাস্তি বেশী হয়।
৬) কোন রকম মাদক দ্রব্য গাড়িতে রাখা বেআইনী।ধরা পড়লে শাস্তি হবে।
৭) যত্ছত্র গাড়ি পাকিং করা অনুচিত।
একটি গাড়ি চালানোর জন্য দরকারি ট্রাফিক আইন গুলো কি কি ??
গাড়ি যেহেতু রাস্তায় বের হবে তাই আমাদের অবশ্যই ট্রাফিক আইন জানতে হবে ও ঠিকমত মানতে হবে৷কারণ এই আইন অমান্য করলে জরিমানা দিতে হয়৷আসুন আইন গুলো জেনে নেই:
বিপরীত দিক থেকে আসা সকল গাড়িকে ডানদিকে দিয়ে যেতে দিতে হবে৷
একই দিক থেকে চলাচল কারী অন্য গাড়িকে পিছনে ফেলে যেতে হলে ডানদিক দিয়ে পাশ কেটে (ওভারটেককরে) যেতেহবে৷
কখনও কখনও সামনের মোটর গাড়ি ডানদিকে মোড় নিয়ে পার হয়ে যায়৷
সামনের গাড়ি ডানদিকে মোড় নিয়ে যেতে থাকলে পিছনের গাড়ি সামনের গাড়ির বামদিকে যেতে পারবে৷
গাড়ি চালক ডানদিকে মোড় নেওয়ার সময় যতটা সম্ভব রাস্তার মধ্যভাগের কাছাকাছি হবেন৷
রাস্তার মধ্যভাগ থেকে গাড়ি ধীরগতিতে সামনে এগিয়ে নেবেন৷
গাড়ি যে যানবাহন বা গাড়িকে ওভারটেক বা পাশকেটে আগে যাবে সে গাড়ির চালক তারগতি বাড়ানো কিংবা অন্য কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবে না৷
শাখা রাস্তা থেকে প্রধান সড়কের কাছাকাছি হওয়ার পর চালককে গাড়ির গতি কমাতে হবে৷
প্রধান রাস্তার যেদিকে যাবে সেদিকে সংকেত দিতে হবে৷
তারপর ডান-বাম দিকে দেখে প্রধান রাস্তায় চলাচল রত সকল ব্যক্তি ও গাড়ির যাতে কোনো ধরনের বিপদ না ঘটে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরই প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করতে হবে৷
একই দিকে চলাচল কারী গাড়ির চালক দুই ক্ষেত্রে সামনের গাড়ি বা যানবাহন কে পাশকেটে (ওভারটেক করে) যেতে পারবে না৷
যেমন-গাড়ি ওভারটেক করলে সামনের দিকে চলাচল কারী কোনো যানবাহন বা পথচারীর অসুবিধা হতে পারে ও বিপদের ভয় থাকতে পারে৷
তাই এঅবস্থায় গাড়ি ওভারটেক করা যাবে না৷
আবার নানা কারণে রাস্তার সামনের দিক ভালোভাবে দেখা যায় না৷
যেমন- কোনাকুনি পথ, পাহাড়, অন্য কোন বাধা ইত্যাদি৷
এসময় চালক সামনের পথ না দেখলে ওভারটেক করা যাবে না৷
একটি গাড়ি চালানোর জন্য দরকারি ট্রাফিক সংকেত গুলো কি কি ??
গাড়ির চালককে নানা ধরনের ট্রাফিক সংকেত মেনে গাড়ি চালাতে হয়৷ নিয়ম মত ট্রাফিক সংকেত না দেওয়া ও নামানা আইনত অপরাধ৷
নিচে নানা ধরনের ট্রাফিক সংকেত দেওয়া হলো-
১. গাড়ির আলো বা বাতির মাধ্যমে সংকেত দেওয়া গাড়ি বাম দিকে ঘুরাতে হলে সামনে ও পেছনে বাম পাশের বাতি জ্বালাতে হবে৷গাড়ি ডানদিকে ঘুরাতে হলে সামনে ও পেছনে ডানপাশের বাতি জ্বালাতে হবে৷গাড়ির গতি কমানো বা থামাতে হলে সামনে ও পেছনের বাতি একসাথে জ্বালাতে হবে৷
২. রাস্তার আলোর মাধ্যমে সংকেত দেওয়া রাস্তার মোড়ে বা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রঙিন আলোর সংকেত দেওয়া হয়৷ আলোর সংকেত দেখে সে অনুসারে গাড়ি চালাতে হয়৷
নিচে আলোর রঙিন সংকেত ও এর অর্থের ছবি দেওয়া হল-
লাল আলোর অর্থ থামুন, পথের থামুন রেখার উপর দাঁড়িয়ে যান৷
হলুদ আলোর অর্থ থামুন৷পথের থামুন রেখার উপর দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করুন৷
সবুজ আলোর অর্থ রাস্তা পরিষ্কার৷ সোজাসুজি এগিয়ে যান৷
সবুজ তীরচিহ্ন জ্বলা বাতিরঅর্থ বামদিকে এগিয়ে যান৷
৩. পথের পাশে দেওয়া ট্রাফিক সংকেত
ড্রাইভারদের জন্য পথের পাশে কিছু ট্রাফিক সংকেত দেওয়া থাকে৷ এসব সংকেতের মাধ্যমে চালক সামনের পথের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারে৷ সেইসাথে গাড়ি চালানোর জন্য নানা রকম সাবধানতাও পেতে পারে৷ যেমন-
৩. পথের পাশে দেওয়া ট্রাফিক সংকেত
ড্রাইভারদের জন্য পথের পাশে কিছু ট্রাফিক সংকেত দেওয়া থাকে৷ এসব সংকেতের মাধ্যমে চালক সামনের পথের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারে৷ সেইসাথে গাড়ি চালানোর জন্য নানা রকম সাবধানতাও পেতে পারে৷ যেমন-
বামে ঘেঁষে চলুন, সামনের দিকে চলুন, বামে চলুন, সামনে ও বামে মোড় নিন, গোল চক্কর ঘুরতে হবে, সর্বনিম্ন গতিসীমা, গাড়ি যে কোনো পাশ দিয়ে যেতে পারে৷এক দিকে চলাচল৷
খ. বাধ্যতামূলকনিষেধচিহ্ন:
প্রবেশ নিষেধ, বড় বাস প্রবেশ নিষেধ, ওভারটেকিং নিষেধ, থামুন, থামুন শিশু পারাপার, পার্কিং নিষেধ, থামা নিষেধ, থামুন এবং রাস্তা ছেড়ে দিন, মটরগাড়ি প্রবেশ নিষেধ, না থেমে সামনে যাওয়া নিষেধ,
গ. অন্যান্য নিষেধ চিহ্ন:
ট্রাক প্রবেশ নিষেধ, ট্রাক্টর ও ধীরগতির গাড়ি চলাচল নিষেধ, পথচারী চলাচল নিষেধ, রিক্সা চলাচল নিষেধ, ঠেলাগাড়ি চলাচল নিষেধ, দাহ্য গ্যাস বহন কারীর প্রবেশ নিষেধ, ৭ টনের অধিক ট্রাক প্রবেশ নিষেধ, গাড়ির উচ্চতা সীমা, গাড়ির প্রস্থসীমা, গাড়ির দৈর্ঘ্য সীমা, জাতীয় গতিসীমার জন্য প্রযোজ্য, সর্বোচ্চ গতিসীমা ৫০কিঃমিঃ, গতিসীমা সীমিত এলাকা শেষ, ২০টনের বেশি ওজনের গাড়ি প্রবেশ নিষেধ, হর্ণ বাজানো নিষেধ, ডানেমোড় নিষেধ, ইউটার্ন নিষেধ
ঘ. সতর্কীকরণচিহ্ন:
থামুন, রেখার দূরত্ব, রাস্তার ডানদিকে পথ ছোট বা সংকীর্ণ, রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার দূরত্ব রেখা, পথচারী পারাপার, শিশুরা স্কুলে আসা যাওয়া করছে, গোলচক্কর, ডবল বাঁক বামদিকে, ডানেবাঁক, দুদিক থেকে আসা রাস্তা মিলিত হয়েছে, টিজংশন, চৌরাস্তা, পাশেরাস্তা, জিগজাগ জংশন, বামদিক থেকে চলমান গাড়ি প্রধান রাস্তায় মিলিত হয়েছে, ডানদিক থেকে চলমান গাড়ি প্রধান রাস্তায় মিলিত হয়েছে, সোজা বরাবর দুইদিকে চলাচল, আড়া-আড়ি ভাবে দুইদিকে চলাচল, চেক পয়েন্ট, রাস্তায় কাজ চলছে, রাস্তা ভাঙ্গা, ওয়াই জংশন, ইউটার্ন, সামনে গাড়ির উচ্চতাসীমা, সামনে নদীর তীর, পাহাড়ের ঢাল নিচের দিকে, খাড়া পাহাড় উপরের দিকে, পাথর পড়ার সংকেত, বিপদজনক গর্ত, রক্ষিত লেভেল ক্রসিং, অরক্ষিত লেভেলক্রসিং, কুঁজাকৃতি সেতু, বিপদজনক বাঁধ, অসমতল রাস্তা, আইল্যান্ড, বামদিকে হঠাত গতি পরিবর্তন, অন্ধলোক, পিচ্ছিল রাস্তা, অন্যান্য বিপদ, ট্রাফিক সিগন্যাল, বিপদ জনক সড়ক, ফেরি পারাপার৷
ঙ. তথ্যমূলকচিহ্ন:
সামনের রাস্তা নাই, পথচারী পারাপার, ফায়ার স্টেশন, ফিলিং স্টেশন, সার্ভিস স্টেশন, প্রাথমিক চিকিত্সা, হাসপাতাল, সামনে রেলওয়ে ক্রসিং, পথচারী রিক্সা ও সাইকেল চলবে, সামনে রিক্সা ও সাইকেল চলার রাস্তা, কেবল রিক্সা চলবে, কেবল সাইকেল চলবে, কেবল গাড়ি চলবে, পার্কিং৷
রাস্তার
মাঝে ছোট খাট মেরামতির কাজ
১) চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ গাড়ির ব্যটারী ডাউন হয়ে যায় বা ব্যাটারী যদি ঠিকমত কাজ না করে, তাহলে প্রথমে কয়েকজন মিলে ঠেলা দিয়ে গাড়ি স্টার্ট করাতে হবে। এরপর গ্যারেজে গিয়ে ব্যাটারী চার্জ করে নিতে হবে।ঠেলা দিয়ে গাড়ি স্টার্ট না হলে অন্য কোন গাড়ির সাথে চেইন বা দড়ির সাহায্যে গাড়িকে বেধে গ্যারেজে নিয়ে যেতে হবে।
২) যদি কোন স্পার্ক প্লাগ কাজ না করে তাহলে অন্য প্লাগগুলো পরিষ্কার করে নিতে হবে, যদি তাতেও কাজ না হয় তাহলে ইন্সুলেটরের অংশ একটু শর্ট করে নিতে হবে।
৩) যদিপেট্রোল –ট্যাঙ্ক থেকে পেট্রোল চুইয়ে পড়ে তাহলে বুঝতে হবে কোন জায়গা ফুটো হয়েছে। কোন জায়গা থেকে পেট্রোল পড়ছে তাদেখে ঐ জায়গাটা বন্ধ করে দিতে হবে। এজন্য অনেকে গাড়িতে কাপড় কাচার সাবান রাখে যাতে সাবান দিয়ে ফুটো সাময়িক ভাবে বন্ধ করা যায়।
৪) যদি এসি পাম্প কাজ না করে কিংবা পেট্রোল ট্যাঙ্ক ফেটে যায় তাহলে একটা ছোট টিনে পেট্রোল ভরে উঁচু করে সেটা ঐ জায়গায় বেঁধে দিতে হবে। ঐটিনে একটা রবারের নল লাগিয়ে মুখদিয়ে একটু পেট্রোল টেনে নলের আগা পর্যন্ত আনতে হবে।তারপর ঐ নলের মুখে কার্বোরেটারের ইন্লেট ইউনিয়নের ফ্লুইডের সঙ্গে জড়ে দিতে হবে।এভাবে করলে ধীরে ধীরে পেট্রোল কার্বোরেটারের মধ্যে যেতে থাকবে, গাড়িও আবার চলতে থাকবে।পরে ভালভাবে মেরামত করতে হবে।
৫) যদি ডায়নামোতে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে না বলে দেখা যায়, অর্থাৎ সেটি চার্জ না থাকে, তাহলে এর কার্বোরেটরটি ভাল করে সাফ করে দিতে হবে।তার পর দেখতে হবে ফ্যান বেল্ট ঢিলা আছে কিনা।যদি ঢিলা থাকে, তাহলে ভাল ভাবে টাইট করে দিতে হবে।ভাল করে লক্ষ করতে হবে যে, ডায়নামো কানেক্শন ও কাট-আউট টার্মিনাল যেন ঢিলা না থাকে।ঢিলা থাকে তবে টাইট করে দিতে হবে।
৬) যদি ইগনিশান সুইচ ঠিকমত কাজ না করে বা অকেজ হয়ে যায় তবে দুটি তার খুলে নিয়ে একসাথে জুড়ে দিয়ে ইঞ্জিনস্টার্ট করে নিতে হবে।ইঞ্জিন বন্ধ করার সময় আমার দুটি তারই খুলে দিতেহবে, যাতে সুইচ অফ হবার কাজ করে।নিজে নিজে যদি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ও তার দুটি অবশ্যই খুলে নিতে হবে।
৭) যদি ব্যাটারী থেকে কয়েলের মধ্যেশর্ট থাকে বা কোন গোলমাল থাকে, তাহলে সেটা আগে ভালকরে পরীক্ষা করে বুঝে নিতে হবে। তারপর পজিটিভ থেকে একটা তার আর ইগনিশান সুইচ থেকে আসা তারের জায়গায় নিয়ে যেতে হবে ও তারপর ইঞ্জিনস্টার্ট করে নিতে হবে।এভাবে কৌশলে সাময়িক কাজ টুকু সেরে নেওয়া যায়।এরপর তার খুলে সুইচ অফ্করার কাজ করবে।যদি সুইচের চাবি হারিয়ে যায় তাহলে ও এইভাবে গাড়িস্টার্ট করে নেওয়া যায়।
৮) যদি ডায়নামো ঠিকমত কাজ করে কিন্তু আউটকারেন্ট ডায়নামোর আগে অর্থাৎ বাইরের দিকে এগিয়ে যেতে না পারে, তাহলেকাট-আউটের পয়েন্টটার্মিন্যাল পরিষ্কার করে নিতে হবে।যদি পরিষ্কার করার পর ও কাজ না হয়, তাহলে ডায়নামোর আর্মেচারের তার খুলে ব্যাটারীর তারের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিনষ্টার্টকরতে হবে এবং বাতি জ্বালিয়ে দিতে হবে। তবে এরফলে অনেক সময় আর্মেচার জ্বলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তাই এতে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।তবে নেহাৎ বিপদে পড়লে এছাড়া উপায় থাকেনা।ইঞ্জিন বন্ধ করার সাথে সাথে অবশ্য আর্মেচার ও ব্যাটারীর তার খুলে ফেলতে হয়।খুলে না দিলে অযথা কারেন্ট নষ্ট হয়।এভাবে বেশীক্ষন চালানো ও ঠিকনা, অতিসত্তর মেরামত করা উচিৎ।
৯) হঠাৎ যদি বিগএন্ড বিয়ারিং খারাপ জ্বলে যায়, তাহলে চেম্বার খুলে বিয়ারিংএর জায়গায় এক টুকরো চামড়া লেপটে দিতে হবে।যদি চামড়া না পাওয়া যায় জুতোর চামড়া সামান্য কেটে লাগিয়ে দেওয়া যায়।তাতে ও যদি কোন কাজ না হয় তাহলে পিষ্টন শুদ্ধ বিয়ারিং খুলে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতে হবে।সাময়িক ভাবে এতে কাজ চলে যাবে।
১০) যদি ইঞ্জিনের একটা পিষ্টন হঠাৎ ভেঙ্গে যায়, তাহলে ইঞ্জিনের হেড ও চেম্বার খুলে ভাঙ্গাপিষ্টনটি খুলে নিতে হবে।তারপর ৩টি বা ৫টি পিষ্টন দিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে।অবশ্য এই সময় ইঞ্জিনের শক্তি খুব কম থাকে।এতে গাড়ি চলবে ,তবে ভারীমাল টেনে নিয়ে যেতে পারবে না। তাই প্রয়োজন হলে গাড়িখালি করে নিতে হবে। তারপর গ্যারাজে নিয়ে গিয়ে পিষ্টন পাল্টে নিতে হবে।
১১) অনেক সময় কোন নির্জন স্থানে চাকার টিউব পাংচার হয়ে যেতে পারে।সঙ্গে অতিরিক্ত চাকা বা মেরামত করার ব্যবস্থা ( ভল কানাইজিং ) নেই। এই অবস্থায় টিউব টি চাকা থেকে খুলে নিতে হবে।তারপর টায়ারের মধ্যে ঘাস, কাগজের টুকরা ইত্যাদি ভরে গাড়ি আস্তে আস্তে কোন গ্যারাজের উদ্দেশ্যে চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
১২) যদি গাড়ির ব্রেক জ্যাম হয়ে যায়, তাহলে পরিষ্কার করার চেষ্টা করতে হবে।যদি তাতেও কাজ না হয়, তাহলে ফুট ব্রেকের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে বুঝে ধীরে ধীরে হ্যান্ড ব্রেকের সাহায্যে চালিয়ে গ্যারাজে নিয়ে গিয়ে মেরামর করতে হবে। অনেক সময় ব্রেক ড্রাম খুলে পরিষ্কার করে আবার লাগিয়ে দিলেও ভাল ভাবে ব্রেক কাজ করে।
১৩) গাড়ির চাকা পাথরখন্ড বা ধারালো কিছুতে ঘষা লেগে কেটে গেলে এক্সিলের উপর জ্যাক লাগিয়ে গাড়ি উঁচু করে কাঁচা রাবার গরম করে সেটা ঠিক করে লাগিয়ে দিতে হবে।এজন্য একটা মোমবাতি ও কিছুটা কাঁচা রাবার গাড়িতে সবসময় রাখা উচিৎ।
২) যদি কোন স্পার্ক প্লাগ কাজ না করে তাহলে অন্য প্লাগগুলো পরিষ্কার করে নিতে হবে, যদি তাতেও কাজ না হয় তাহলে ইন্সুলেটরের অংশ একটু শর্ট করে নিতে হবে।
৩) যদিপেট্রোল –ট্যাঙ্ক থেকে পেট্রোল চুইয়ে পড়ে তাহলে বুঝতে হবে কোন জায়গা ফুটো হয়েছে। কোন জায়গা থেকে পেট্রোল পড়ছে তাদেখে ঐ জায়গাটা বন্ধ করে দিতে হবে। এজন্য অনেকে গাড়িতে কাপড় কাচার সাবান রাখে যাতে সাবান দিয়ে ফুটো সাময়িক ভাবে বন্ধ করা যায়।
৪) যদি এসি পাম্প কাজ না করে কিংবা পেট্রোল ট্যাঙ্ক ফেটে যায় তাহলে একটা ছোট টিনে পেট্রোল ভরে উঁচু করে সেটা ঐ জায়গায় বেঁধে দিতে হবে। ঐটিনে একটা রবারের নল লাগিয়ে মুখদিয়ে একটু পেট্রোল টেনে নলের আগা পর্যন্ত আনতে হবে।তারপর ঐ নলের মুখে কার্বোরেটারের ইন্লেট ইউনিয়নের ফ্লুইডের সঙ্গে জড়ে দিতে হবে।এভাবে করলে ধীরে ধীরে পেট্রোল কার্বোরেটারের মধ্যে যেতে থাকবে, গাড়িও আবার চলতে থাকবে।পরে ভালভাবে মেরামত করতে হবে।
৫) যদি ডায়নামোতে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে না বলে দেখা যায়, অর্থাৎ সেটি চার্জ না থাকে, তাহলে এর কার্বোরেটরটি ভাল করে সাফ করে দিতে হবে।তার পর দেখতে হবে ফ্যান বেল্ট ঢিলা আছে কিনা।যদি ঢিলা থাকে, তাহলে ভাল ভাবে টাইট করে দিতে হবে।ভাল করে লক্ষ করতে হবে যে, ডায়নামো কানেক্শন ও কাট-আউট টার্মিনাল যেন ঢিলা না থাকে।ঢিলা থাকে তবে টাইট করে দিতে হবে।
৬) যদি ইগনিশান সুইচ ঠিকমত কাজ না করে বা অকেজ হয়ে যায় তবে দুটি তার খুলে নিয়ে একসাথে জুড়ে দিয়ে ইঞ্জিনস্টার্ট করে নিতে হবে।ইঞ্জিন বন্ধ করার সময় আমার দুটি তারই খুলে দিতেহবে, যাতে সুইচ অফ হবার কাজ করে।নিজে নিজে যদি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ও তার দুটি অবশ্যই খুলে নিতে হবে।
৭) যদি ব্যাটারী থেকে কয়েলের মধ্যেশর্ট থাকে বা কোন গোলমাল থাকে, তাহলে সেটা আগে ভালকরে পরীক্ষা করে বুঝে নিতে হবে। তারপর পজিটিভ থেকে একটা তার আর ইগনিশান সুইচ থেকে আসা তারের জায়গায় নিয়ে যেতে হবে ও তারপর ইঞ্জিনস্টার্ট করে নিতে হবে।এভাবে কৌশলে সাময়িক কাজ টুকু সেরে নেওয়া যায়।এরপর তার খুলে সুইচ অফ্করার কাজ করবে।যদি সুইচের চাবি হারিয়ে যায় তাহলে ও এইভাবে গাড়িস্টার্ট করে নেওয়া যায়।
৮) যদি ডায়নামো ঠিকমত কাজ করে কিন্তু আউটকারেন্ট ডায়নামোর আগে অর্থাৎ বাইরের দিকে এগিয়ে যেতে না পারে, তাহলেকাট-আউটের পয়েন্টটার্মিন্যাল পরিষ্কার করে নিতে হবে।যদি পরিষ্কার করার পর ও কাজ না হয়, তাহলে ডায়নামোর আর্মেচারের তার খুলে ব্যাটারীর তারের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিনষ্টার্টকরতে হবে এবং বাতি জ্বালিয়ে দিতে হবে। তবে এরফলে অনেক সময় আর্মেচার জ্বলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তাই এতে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।তবে নেহাৎ বিপদে পড়লে এছাড়া উপায় থাকেনা।ইঞ্জিন বন্ধ করার সাথে সাথে অবশ্য আর্মেচার ও ব্যাটারীর তার খুলে ফেলতে হয়।খুলে না দিলে অযথা কারেন্ট নষ্ট হয়।এভাবে বেশীক্ষন চালানো ও ঠিকনা, অতিসত্তর মেরামত করা উচিৎ।
৯) হঠাৎ যদি বিগএন্ড বিয়ারিং খারাপ জ্বলে যায়, তাহলে চেম্বার খুলে বিয়ারিংএর জায়গায় এক টুকরো চামড়া লেপটে দিতে হবে।যদি চামড়া না পাওয়া যায় জুতোর চামড়া সামান্য কেটে লাগিয়ে দেওয়া যায়।তাতে ও যদি কোন কাজ না হয় তাহলে পিষ্টন শুদ্ধ বিয়ারিং খুলে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতে হবে।সাময়িক ভাবে এতে কাজ চলে যাবে।
১০) যদি ইঞ্জিনের একটা পিষ্টন হঠাৎ ভেঙ্গে যায়, তাহলে ইঞ্জিনের হেড ও চেম্বার খুলে ভাঙ্গাপিষ্টনটি খুলে নিতে হবে।তারপর ৩টি বা ৫টি পিষ্টন দিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে।অবশ্য এই সময় ইঞ্জিনের শক্তি খুব কম থাকে।এতে গাড়ি চলবে ,তবে ভারীমাল টেনে নিয়ে যেতে পারবে না। তাই প্রয়োজন হলে গাড়িখালি করে নিতে হবে। তারপর গ্যারাজে নিয়ে গিয়ে পিষ্টন পাল্টে নিতে হবে।
১১) অনেক সময় কোন নির্জন স্থানে চাকার টিউব পাংচার হয়ে যেতে পারে।সঙ্গে অতিরিক্ত চাকা বা মেরামত করার ব্যবস্থা ( ভল কানাইজিং ) নেই। এই অবস্থায় টিউব টি চাকা থেকে খুলে নিতে হবে।তারপর টায়ারের মধ্যে ঘাস, কাগজের টুকরা ইত্যাদি ভরে গাড়ি আস্তে আস্তে কোন গ্যারাজের উদ্দেশ্যে চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
১২) যদি গাড়ির ব্রেক জ্যাম হয়ে যায়, তাহলে পরিষ্কার করার চেষ্টা করতে হবে।যদি তাতেও কাজ না হয়, তাহলে ফুট ব্রেকের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে বুঝে ধীরে ধীরে হ্যান্ড ব্রেকের সাহায্যে চালিয়ে গ্যারাজে নিয়ে গিয়ে মেরামর করতে হবে। অনেক সময় ব্রেক ড্রাম খুলে পরিষ্কার করে আবার লাগিয়ে দিলেও ভাল ভাবে ব্রেক কাজ করে।
১৩) গাড়ির চাকা পাথরখন্ড বা ধারালো কিছুতে ঘষা লেগে কেটে গেলে এক্সিলের উপর জ্যাক লাগিয়ে গাড়ি উঁচু করে কাঁচা রাবার গরম করে সেটা ঠিক করে লাগিয়ে দিতে হবে।এজন্য একটা মোমবাতি ও কিছুটা কাঁচা রাবার গাড়িতে সবসময় রাখা উচিৎ।